Skip to main content

Posts

Showing posts from 2019

আধুনিক সমাজে ভুল কোথায় ??

ব র্তমান দিনে সারা বিশ্ব যে সমস্যার সম্মুখীন তাতে প্রশাসন সরকার রাজনীতিবিদ পুলিশ বিচার ব্যবস্থা প্রভৃতির প্রতি দোষারোপ করে লাভ নেই ।আমরা ভেতর থেকেই উদ্বিগ্ন,তাই অন্যকেও উদ্বেগ দিতে চাই । আমাদের মনের এই গতি-প্রকৃতির মূল্যায়ন করতে হবে,এবং তখনই বোঝা সম্ভব হবে মন-সংযমের পদ্ধতি । একবিংশ শতাব্দীর চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি যা আমাদেরকে আশ্চর্যান্বিত করেছে। যা আমরা কয়েকশো বছর পূর্বে কল্পনাও করতে পারিনি। এই বর্তমান যুগে নানান আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।এই বিজ্ঞানের মাধ্যমে। এই বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হচ্ছে-সমস্ত বিশ্বকে দুর্দশা মুক্ত করা বা যথাসম্ভব দুর্দশা কমিয়ে আনা। যার ফলে সাধারণ মানুষ আরো সুখে-স্বচ্ছেন্দে বাস করতে পারে।।কিন্তু সেই সুখ-স্বচ্ছন্দ কোথায় ?? বিশ্বের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলি যেমন--আমেরিকা,জাপান যদিও ভারতের থেকে শতগুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত,তবুও আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যাচ্ছে সেখানে ধনী ও যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবথেকে বেশি। ইদানীং ভারতেও। এই দেশের লোকগুলো কোন রকম ভাবে বেঁচে আছে। তারা সবসময় উৎকন্ঠিত,হতাশাগ্রস্ত এবং খুবই বিভ্রান্ত অব...

প্রকৃতির নিয়ম এতই নিষ্ঠুর ??

যদি কোনও মানুষ প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে তবে তার  জন্য তাকে সেই পাপের ভাগী হতেই হয়। পরিণামে তাকে সেই জন্য দণ্ডভােগ করতে হয়। মানব-জীবনের বিধি-নিয়ম পশুদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য নয়। একটি বাঘ চাল, গম খায় না অথবা গরুর দুধ পান করে না, কারণ তার আহার হচ্ছে পশুর মাংস। বহু পশু-পক্ষী রয়েছে যারা হয় মাংসাশী, নয় নিরামিষাশী, কিন্তু তারা কেউই ভগবানের ইচ্ছার অধীন প্রকৃতির নিয়ম লঙ্ঘন করে না।পশু, পক্ষী, সরীসৃপ এবং অন্যান্য সমস্ত নিম্ন স্তরের প্রাণীরা অবিচলিতভাবে প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলে; তাই তাদের ক্ষেত্রে কোন রকম পাপের প্রশ্ন ওঠে না, আবার বৈদিক নির্দেশগুলিও তাদের জন্য নয়। কেবল মনুষ্য-জীবনই হচ্ছে দায়িত্ব-সম্পন্ন জীবন। কেবল নিরামিষাশী হলেই যে প্রকৃতির নিয়মগুলির লঙঘন পরিহার করা হয়, তা মনে করা ভুল। গাছেরও প্রাণ রয়েছে। প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে, একটি জীব আর একটি জীবের আহার। সুতরাং নিষ্ঠাবান নিরামিষাশী হওয়ার জন্য গর্ব করা উচিত নয়; আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানকে জানা। ভগবানকে জানার মতাে উন্নত বুদ্ধিমত্তা পশুদের নেই, কিন্তু বৈদিক শাস্ত্রের শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে এবং প্রকৃতির নিয়ম কিভাবে...

আমরা আমাদের আসল পরিচয় জানি কি ?

এ ই জগতের প্রায় সবার জীবন দেহকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে । সবাই মনে করে আমি আমার দেহ । তাই সবার পরিচয়ও হয় দেহকেন্দ্রিক - ‘ আমি মানুষ , আমি পুরুষ , আমি নারী , আমি ছাত্র , আমি ডাক্তার , আমি ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি । কিন্তু আসলেই কি দেহই আমি বা আমরা ? কেউ মারা গেলে কেন আমরা বলি - “ অমুক চলে গেলেন । ” যদিও অমুকের দেহটি এখনাে বর্তমান ? নিশ্চয়ই দেহ থেকে এমন কেউ চলে গেছেন , যার অভাবে দেহ এখন নির্জীব , মৃত ; আবার যখন তিনি ছিলেন , তখন দেহ সচল , সজীব ও চেতন ছিল ।  - আমিই দেহ , নাকি আমার দেহ ?  স্বজ্ঞাগত এ বােধটি আমাদের প্রত্যেকেরই আছে যে , প্রকৃত ব্যক্তিসত্তা ‘ আমি আমার দেহ , মন ও বুদ্ধি থেকে পৃথক । তাই আমরা বলে থাকি । আমার হাত , আমার পা , আমার মাথা , আমার দেহ ' ইত্যাদি । ঠিক যেমন আমরা বলি - আমার জামা , আমার জুতাে ; কিন্তু কেউ কি কখনাে বলে - আমি জামা , আমি জুতাে ’ ? এ হাত , পা আদি অঙ্গ - প্রত্যঙ্গগুলাে তাে বটেই এমনকি পুরাে দেহটিও ব্যক্তিসত্তা ছাড়া কিছু করতে পারে না । এক এক করে এ অঙ্গ - প্রত্যঙ্গগুলাে বিচ্ছিন্ন বা প্রতিস্থাপন করলেও ব্যক্তি ‘ আমি ’ র অস্তিত্ব থাকে । কিন্ত...

কেন এই দুর্লভ মানব জন্ম ?

এ ই জড় জগতে ৮৪ লক্ষ প্রজাতির জীব রয়েছে। এই ৮৪ লক্ষ জীবের মধ্যে ৯ লক্ষ প্রজাতির জলজ প্রাণী, ১১ লক্ষ প্রজাতির কীট পতঙ্গ, ১০ লক্ষ প্রজাতির পাখি, ২০ লক্ষ প্রজাতির গাছপালা, ৩০ লক্ষ প্রজাতির পশু ও ৪ লক্ষ প্রজাতির মানুষ রয়েছে। এখন যারা মানুষ কুলে জন্মগ্রহন করেছেন তারা ইতিপূর্বে ৮০ লক্ষ প্রজাতির দেহ পরিবর্তন করে এসেছেন, ৮০ লক্ষ বার তাদের জন্ম হয়েছে মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং যে জীবাত্মা মনুষ্য দেহ লাভ করেছে সে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান, তাই মনুষ্য জন্মকে বলা হয় সুদুর্লভ। এখন প্রশ্ন হলো কেন এই মানব জন্ম ? একসময় প্রতিটি জীবাত্মা ভগবানের নিত্য আলয় শ্রী গোলক বৃন্দাবনে ছিল, সেখানে ভোগ-বাঞ্চা করার কারনে ভগবান অনন্তকোটি জড় ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করে সেখানে জীবাত্মাদের প্রেরণ করেছেন ভোগ বাসনা পূর্ণ করার জন্য, তো জীবাত্মা যখন জড় জগতে পতিত হয় তখন সে ভোগে লিপ্ত হয়। আর এই ভোগউন্মূখ জড় জগতকে ভোগ করার মাধ্যমে জীবাত্মা চরম দুঃখ অশান্তি ডেকে আনে এবং বারবার জন্ম-মৃত্যু, জরা-ব্যাধির দ্বারা ভীষন দুঃখ-কষ্ট পেতে থাকে। জীবাত্মাদের এমন দুঃখ-কষ্ট দেখে জীবের পরম সুুহৃদ ও জীবের পরম পিতা শ্রী কৃষ্ণ জীবদের এই জড় জগৎ থেকে উদ্ধার ...

পান্ডবা নির্জলা একাদশী মাহাত্ম্য:

জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষের এই নির্জলা একাদশী ব্রত সম্পর্কে ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে শ্রীভীমসেন-ব্যাস সংবাদে বর্ণিত হয়েছে। মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন- হে জনার্দন! আমি অপরা একাদশীর সমস্ত মাহাত্ম্য শ্রবণ করলাম এখন জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য কৃপাপূর্বক আমার কাছে বর্ণনা করুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন, এই একাদশীর কথা মহর্ষি ব্যাসদেব বর্ণনা করবেন। কেননা তিনি সর্বশাস্ত্রের অর্থ ও তত্ত্ব পূর্ণরূপে জানেন। রাজা যুধিষ্ঠির ব্যাসদেবকে বললেন- হে মহর্ষি দ্বৈপায়ন! আমি মানুষের লৌকিক ধর্ম এবং জ্ঞানকান্ডের বিষয়ে অনেক শ্রবণ করেছি। আপনি যথাযথভাবে ভক্তি বিষয়িনী কিছু ধর্মকথা এখন আমায় বর্ণনা করুন। শ্রীব্যাসদেব বললেন-হে মহারাজ! তুমি যেসব ধর্মকথা শুনেছ এই কলিযুগের মানুষের পক্ষে সে সমস্ত পালন করা অত্যন্ত কঠিন। যা সুখে, সামান্য খরচে, অল্প কষ্টে সম্পাদন করা যায় অথচ মহাফল প্রদান করে এবং সমস্ত শাস্ত্রের সারস্বরূপ সেই ধর্মই কলিযুগে মানুষের পক্ষে করা শ্রেয়। সেই ধর্মকথাই এখন আপনার কাছে বলছি। উভয় পক্ষের একাদশী দিনে ভোজন না করে উপবাস ব্রত করবে।দ্বাদশী দিনে স্নান করে শুচিশুদ্ধ হয়ে নিত্যকৃত্য সমাপনের পর শ্রীকৃষ্ণের ...

আজ দশহরা গঙ্গা পূজা। দশবিধ ফল দিয়ে দেবী গঙ্গার পূজার বিধি......

|| দেবী সুরেশ্বরী ভগবতী গঙ্গে,ত্রিভুবনতারিণি তরল তরঙ্গে || আ জ দশহরা গঙ্গা পূজা। গঙ্গা কলিযুগে পরম তীর্থ । বিশেষ করে সব শাস্ত্রই এই কথা বলে। মহাভারতে ঋষি পুলস্ত্য, ভীস্মের নিকট কীর্তন করেছেন- “যেখানে গঙ্গা আছেন সেটাই দেশ, গঙ্গা তীরের সেই দেশই তপোবন ও সিদ্ধ তীর্থ।” আর্য্য দিগের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থেও ‘গঙ্গা’ নাম উল্লেখ আছে । গঙ্গা বৈদিকী নদী । ঋক্ বেদের একটি শ্লোকে যমুনা, সরস্বতী, শতুদ্রী , পরুষ্ণী , অসিক্লী , মরুৎবৃধা , বিতস্তা , সুষোমা ও আর্জীকিয়া নদীর সাথে গঙ্গার নাম পাওয়া যায় ( ঋক্- ১০/৭৫/০৫) পুরাণ মতে স্বর্গ বাসিনী এই গঙ্গা দেবীকে মর্তে এনেছিলেন সগর রাজার বংশজ রাজা ভগীরথ । তিনি আবার ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের কূলের পূর্বপুরুষ । পৌরাণিক আখ্যান মতে সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র কপিল শাপে ভস্ম হলে, তাহাদিগের প্রেতাত্মার মুক্তির জন্য স্বর্গ থেকে গঙ্গা কে আনবার প্রয়োজন হয় । তপস্যা করতে করতে একে একে রাজা সগর, অসমঞ্জ, অংশুমান, দিলীপ রাজা দেহ ত্যাগ করেন। অবশেষে দিলীপ পুত্র ভগীরথ সফল হন। গঙ্গাকে মর্তে আনতে পারেন । ভোগোলিক তথ্যে গঙ্গার উৎপত্তি গোমুখী শৃঙ্গ থেকে। আকাশ ( স্বর্গ ) থেকে পতিত মেঘের জল...

শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত/রথের রশি স্পর্শে কি ফল হয়?

র থের রশির নাম বাসুকি! জগন্নাথদেবের রথের রশি একটি বার স্পর্শ করার জন্য আকুল হয়ে পড়েন ভক্তরা। পুরী, কলকাতার রথ কিংবা বিশ্বব্যাপী ইসকনের রথ ---সর্বত্রই রথের রশি ছুঁয়ে দেখার জন্য মানুষের ভীড় উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। আসলে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জগন্নাথদেবের রথের রশি স্পর্শ করলে পুনর্জন্মের কষ্ট সহ্য করতে হয় না। . এক সময় পুুরীর রথযাত্রায় জগন্নাথদেবের রশি ছুঁয়ে সেই রথের চাকার তলায় আত্মঘাতী হত কোনো কোনও ভক্ত। কেন এই অদ্ভুত মৃৃত্যুবরণ? মানুষের বিশ্বাস শ্রীপুরুষোত্তমের চাকার নীচে প্রাণ বিসর্জন দিতে পারলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বর্গারোহণ নিশ্চিত করা যায়। . শ্রীচৈতন্যদেবের অন্যতম প্রিয় শিষ্য সনাতন গোস্বামী অসুস্থতার কারণে একবার রথযাত্রার দিন জগন্নাথদেবের চলন্ত চাকার তলে প্রাণ বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন। তখন মহাপ্রভুই তাঁকে বলেন, সনাতন, এরকম দেহ ত্যাগে যদি কৃৃষ্ণকে পাওয়া যেত তাহলে এক মূহুর্তের মধ্যে আমিও আমার লক্ষ জন্ম তাঁর শ্রীচরণে সমর্পন করতাম। কিন্তু দেহত্যাগে কৃৃষ্ণকে পাওয়া যায় না। এরকম দেহত্যাগ হচ্ছে তমোগুণ। তমোগুণে কৃৃষ্ণকে পাওয়া যাবে না। ভক্তি ছাড়া, ভজন ছাড়া তাঁকে পাওয়ার ...

" সাধুসঙ্গ সাধুসঙ্গ সর্বশাস্ত্রে কয় লব মাত্র সাধু সঙ্গে সর্ব্ব সিদ্ধি হয় "

গল্পটা শুনে ভালো লাগবে আসা করছি.... চ লো। তুমিও ফুলের মধু খাবে।অনেক বোঝানোর পর ভ্রমর অনেক কষ্টে গোবর পোকাকে রাজি করিয়ে গোবর পোকাকে নিয়ে গেল। দুই বন্ধু মিলে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে মধু খেতে শুরু করে দিল।মধু পেয়ে গোবর পোকা ভাবছে, বাঃ এতো খুব সুন্দর স্বাদ তাই আরো বেশি বেশি করে খেতে শুরু করে দিল। মধু খেয়ে একসময় তার নেশা হয়ে গেল। তখন গোবর পোকাটি নরম ফুলের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল। ক্রমশ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। সন্ধ্যার সময় প্রাকৃতিক নিয়মেই অনেক ফুলের পাপড়ি মুদে যায় বা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।গোবর পোকাটি যে ফুলটিতে ঘুমিয়েছিল সেই ফুলটিও মুদে গেল আর ভ্রমর তার নিজের বাসায় চলে গেল। পরদিন সকালে এক ভক্ত সেই ফুলটি তুলে নিয়ে গেল ভগবানের পুজোর উদ্দেশ্যে। গোবর পোকা কিন্তু তখনও ফুলের মধ্যেই। এদিকে ভক্ত সেই ফুলটি চন্দন চর্চিত করে ভগবানের শ্রীচরণে অর্পন করলেন। কিছু সময় পর যখন ফুলটি যখন প্রস্ফুটিত হল তখন গোবর পোকা ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখে আমি কোথায় এলাম, আমি তো ভগবানের চরণে। আমি একটা গোবর পোকা যার স্থান ছিল পচা দুর্গন্ধ গোবরের মধ্যে, সেই আমি কিনা আজ জগৎপতির চরণে। মনে মনে ভাবতে লাগল, আজ যদি ভ্রমরের সঙ্গ না ধরতাম তাহলে হয়তো কো...

শ্রীকৃষ্ণের পায়ের নুপুর ছোট বড় কেন?

 শ্রী রাম চন্দ্র সীতাকে হারানোর পর রামধনুক মাটিতে রেখে কাঁদছেন। হঠাৎ ভ্রাতা লক্ষণ দেখতে পেলেন রামচন্দ্রের নয়ন বারি মাটিতে পড়ছে। কিন্তু সেখানে নয়ন বারি নয় সেটা রক্ত স্বরুপ। লক্ষণ যখন ভ্রাতা রামচন্দ্র কে জিজ্ঞেস করলেন ভ্রাতা একি, আপনি কাদছেন অথচ মাটিতে রক্ত দেখা যাচ্ছে কেন? তখন রামচন্দ্র ধনুক সরিয়ে দেখেন একটি ব্যাঙ ধনুকের নিচে আর তারই রক্ত সেখানে। আর সেই রক্তে তৈরী হয়েছিল নদী। তখন রামচন্দ্র ব্যাঙটিকে হাতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন ওরে ব্যাঙ সাপে যখন তোকে আহার ভেবে খেতে যায়, তখন তো চিৎকার করিস। তাহলে এখন কেন চুপ হয়ে রইলি। তখন ব্যাঙ উত্তরে বললো প্রভু তখন আমি চিৎকার করে তোমার কাছে নালিশ জানাই। আর এখন তো আপনি স্বয়ং প্রভু তাহলে কার কাছে নালিশ জানাব। তখন রামচন্দ্র বললেন তুমি পুর্ব জন্মে কি ছিলে? তখন ব্যাঙ উত্তরে বললো আমি ছিলাম কর্ণব আর আমার গুরুদেব ছিলেন বিশ্বাবসু। গুরুর চরণ সেবা করতে গিয়ে একদিন নখের আছর লেগেছিল। তখন গুরুদেব আমায় অভিশাপ দিয়েছিলেন আমি পরজন্মে ব্যাঙ কুলে জন্ম নিব। তখন বলেছিলেন গুরুদেব অভিশাপ তো দিলেন এবার আশীর্বাদ টুকু ও দেন। তখন আশীর্বাদ দিয়েছিলেন আমার মরণ প্রভু রামচন্দ্...

খেলার ঘর (গল্পে উপদেশ )

এ ক বালক পুরীর সমুদ্রের পাড়ে বালি, রঙিন কাগজ, দড়ি দিয়ে সুন্দর সুন্দর ঘর বানিয়েছিল খেলার জন্য। সব সময় সে সেই খেলার ঘরের চিন্তা নিয়েই থাকত। হঠাৎ এক সময় সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এসে তার খেলার ঘর ভেঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। বালকটি তখন অত্যন্ত আকুল হয়ে কাঁদতে শুরু করল। কারণ বহু কষ্টের তৈরী তার মমতার খেলার ঘর এবং বহুদিনের পরিকল্পনা সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। তার বাবা এসে বললেন, ‘বাছা। কেঁদে কোন লাভ নেই। চল বাড়ী ফিরে চল।’ বালকটি বলল, ‘না, আমার ঘর ভেঙে গেছে। আমি যাব না। বাবা বললেন, ‘না না, তোমার আসল ঘরে চল। সেই ঘর এই ভাবে কখনও ভাঙে না আমার হাত ধর, চল।” । হিতোপদেশ। আমরা এই জড় জগতে যত বড় বড় পরিকল্পনা করি না কেন, কালসমুদ্রের মহাতরঙ্গে আমাদের সমস্ত সুখের আশা নস্যাৎ হয়ে যাবে। আমরা বাধ্য হব আমাদের প্রিয়জন, প্রিয় শরীর ঘর-বাড়ি, গাড়ি-ঘোড়া, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সব কিছু ছেড়ে দিতে। কিন্তু পরম পিতা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে তাঁর কারুণ্যশক্তির প্রকাশ বিগ্রহ শ্রীগুরুদেব নিত্যানন্দময় গোলক থেকে ভূতলে আবির্ভূত হয়েছেন, আমাদের চির আশ্রয় আনন্দময় নিত্য শাশ্বত পরমানন্দ ধামে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। সেই জ...

ইসকনের বিরুদ্ধে মামলাঃ-

রা শিয়ার কিছু উগ্রবাদী সংগঠন ও সরকার পক্ষের কিছু লোক ইসকনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন রাশিয়ার সর্বচ্চ আদালতে। মামলাতে উল্লেখ করা হয় ইসকন একটি অবৈদিক সংঘঠন। এবং তারা এই দেশ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এসেছেন। আরো বলা হয় তারা এদেশের যুব সমাজকে পঙ্গু করে দিচ্ছেঃ- শুরু হয় মামলার শুনানি। চলতে থাকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। এক পর্যায়ে বিচারক নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে পরেন। যেহেতু বিচারককে রায় দিতে হবে, সেহেতু বিচারক নিজেই সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি  শ্রীল প্রভুপাদের তাৎপর্য সম্বলিত সব গ্রন্থ সমূহ পড়বেন। জানতে চান কি আছে এই গ্রন্থ গুলোর মধ্যে। এক পর্যায়ে বিচারকের সবগুলো গ্রন্থ পড়া শেষ হয়। এবার রায় দেওয়া তারিখ আসলো। রায়ে বলা হয় ইসকন সম্পূর্ণ ভাবে একটি বৈদিক সংঘঠন। এবং এই বৈদিক শিক্ষা যারা লাভ করবে তারা মানব জীবনের পরম উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। বিপথে পরিচালিত হওয়া যুব সমাজকে সঠিক পথ অনুসরণ করাতে পারবে এই ইসকন। ইসকন মোটেও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মতো কোনো সংঘঠন নয়। এরা শুধুমাত্র কৃষ্ণ সেবা ও কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণের জন্য প্রণামি কালেকশন করেন। এদের রয়েছে একটি মহৎ উদ্দেশ্য সেটা হলো তারা সারা বিশ্বে ইসকন...

dahijuri jcs logo

dahijuri jcs youtube link- https://www.youtube.com/channel/UC4SiLssdokRDGAzrqU9vgLw?view_as=subscriber  dahijuri jcs logo