রাশিয়ার কিছু উগ্রবাদী সংগঠন ও সরকার পক্ষের কিছু লোক ইসকনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন রাশিয়ার সর্বচ্চ আদালতে। মামলাতে উল্লেখ করা হয় ইসকন একটি অবৈদিক সংঘঠন। এবং তারা এই দেশ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এসেছেন। আরো বলা হয় তারা এদেশের যুব সমাজকে পঙ্গু করে দিচ্ছেঃ-
শুরু হয় মামলার শুনানি। চলতে থাকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। এক পর্যায়ে বিচারক নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে পরেন। যেহেতু বিচারককে রায় দিতে হবে, সেহেতু বিচারক নিজেই সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি শ্রীল প্রভুপাদের তাৎপর্য সম্বলিত সব গ্রন্থ সমূহ পড়বেন। জানতে চান কি আছে এই গ্রন্থ গুলোর মধ্যে। এক পর্যায়ে বিচারকের সবগুলো গ্রন্থ পড়া শেষ হয়। এবার রায় দেওয়া তারিখ আসলো। রায়ে বলা হয় ইসকন সম্পূর্ণ ভাবে একটি বৈদিক সংঘঠন। এবং এই বৈদিক শিক্ষা যারা লাভ করবে তারা মানব জীবনের পরম উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। বিপথে পরিচালিত হওয়া যুব সমাজকে সঠিক পথ অনুসরণ করাতে পারবে এই ইসকন। ইসকন মোটেও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মতো কোনো সংঘঠন নয়। এরা শুধুমাত্র কৃষ্ণ সেবা ও কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণের জন্য প্রণামি কালেকশন করেন। এদের রয়েছে একটি মহৎ উদ্দেশ্য সেটা হলো তারা সারা বিশ্বে ইসকন ফুড ফর লাইফ এর মধ্যমে ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণের চেষ্টা করছে। এবং তারা বৈদিক শিক্ষার মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্টার চেষ্টা করছে। এরাই মানব সমাজে সঠিক মেধা ও সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষ উপহার দিতে পারবে। এই ভাবে রাশিয়াতে জয় হলো ইসকনের।
ফলস্রুতিতে রাশিয়ার সেই বিচারক ইসকনের আজীবন সদস্য হন ও তার সম্পূর্ণ পরিবার কৃষ্ণ ভক্তে রূপান্তরিত হন। এবং তার ছেলে ইসকনের ব্রহ্মচারী হয়ে যান। আজ রাশিয়াতে ইসকনের জয় জয় কার। তৈরী হচ্ছে হাজার হাজার কৃষ্ণ ভক্ত।
(জয় শ্রীল প্রভুপাদ)
Horibol
ReplyDeleteJoy srila Prabhupada