বর্তমান দিনে সারা বিশ্ব যে সমস্যার সম্মুখীন তাতে প্রশাসন সরকার রাজনীতিবিদ পুলিশ বিচার ব্যবস্থা প্রভৃতির প্রতি দোষারোপ করে লাভ নেই ।আমরা ভেতর থেকেই উদ্বিগ্ন,তাই অন্যকেও উদ্বেগ দিতে চাই ।
আমাদের মনের এই গতি-প্রকৃতির মূল্যায়ন করতে হবে,এবং তখনই বোঝা সম্ভব হবে মন-সংযমের পদ্ধতি ।
একবিংশ শতাব্দীর চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি যা আমাদেরকে
আশ্চর্যান্বিত করেছে।
যা আমরা কয়েকশো বছর পূর্বে কল্পনাও করতে পারিনি।
এই বর্তমান যুগে নানান আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।এই বিজ্ঞানের মাধ্যমে।
এই বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হচ্ছে-সমস্ত বিশ্বকে দুর্দশা মুক্ত করা বা যথাসম্ভব দুর্দশা কমিয়ে আনা।
যার ফলে সাধারণ মানুষ আরো সুখে-স্বচ্ছেন্দে বাস করতে পারে।।কিন্তু সেই সুখ-স্বচ্ছন্দ কোথায় ??
বিশ্বের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলি যেমন--আমেরিকা,জাপান যদিও ভারতের থেকে শতগুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত,তবুও আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যাচ্ছে সেখানে ধনী ও যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবথেকে বেশি। ইদানীং ভারতেও।
এই দেশের লোকগুলো কোন রকম ভাবে বেঁচে আছে। তারা সবসময় উৎকন্ঠিত,হতাশাগ্রস্ত এবং খুবই বিভ্রান্ত অবস্থায় রয়েছে।
আমরা দার্শনিক বিচার বিশ্লেষণ করছি না। আমরা কেবল বাস্তব সমস্যা গুলো বর্ণনা করছি।
আজকাল আমেরিকায় বিবাহের প্রথম তিন বছরের মধ্যে-বিবাহ-বিচ্ছেদের হার ৭৫% ।অধিক থেকে অধিকতর লোককে রাত্রিতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে হয় আর তারা নিয়মিত মনস্তত্ববিদদের নিকটে ছোটে। এই প্রকার অপসংস্কৃতি বর্তমানে ভারতের শহরগুলিতে দেখা যাচ্ছে।
লোকগুলো যেন রোবটের মতো অনুভূতিহীন,যন্ত্রের মতো চালিত হচ্ছে।
আবেগ বলে কোনকিছু নেই যদিও বা আছে তাও মিথ্যে ভাবপ্রবণতা।
আত্মার প্রকৃতি হচ্ছে সৎ-চিৎ-আনন্দ অর্থাৎ আত্মা হলো শাশ্বত,জ্ঞানময় ও আনন্দময়।
দেহ ও আত্মা এই দুইয়ের বিপরীতধর্মী অবস্থায় ,জীব নিত্য আনন্দময় পরিবেশে সুখী হওয়ার কথা ,সে কখনই অনিত্য দূর্দশাময় দেহে সুখ লাভ করতে পারে না।
জীবাত্মাকে পুনঃ পুনঃ জন্ম,বার্ধক্য,রোগ এবং মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এক দেহ থেকে অন্য দেহে ঘুরে বেড়াতে হয়।
তাই আমাদের প্রার্থনা করা উচিত--"হে মুরারী,ভগবান কৃষ্ণ,আমি বারবার জন্ম-মৃত্যুর তরঙ্গে নিক্ষিপ্ত হচ্ছি।
আমি বারবার জন্ম গ্রহণ করতে এবং বারবার মৃত্যু বরন করতে বাধ্য হচ্ছি। এভাবে আমি লক্ষ লক্ষ মাতৃজঠরে পরিভ্রমণ করে আসছি।
আপনি অনুগ্রহ করে আমার প্রতি কৃপা বর্ষণ করুন,যাতে এই দুর্দশাপূর্ণ অবস্থা থেকে নিস্তার লাভ করতে পারি।।
গ্রন্থসুত্র--মন নিয়ন্ত্রণের কৌশল!!
আমাদের মনের এই গতি-প্রকৃতির মূল্যায়ন করতে হবে,এবং তখনই বোঝা সম্ভব হবে মন-সংযমের পদ্ধতি ।
একবিংশ শতাব্দীর চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি যা আমাদেরকে
আশ্চর্যান্বিত করেছে।
যা আমরা কয়েকশো বছর পূর্বে কল্পনাও করতে পারিনি।
এই বর্তমান যুগে নানান আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।এই বিজ্ঞানের মাধ্যমে।
এই বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হচ্ছে-সমস্ত বিশ্বকে দুর্দশা মুক্ত করা বা যথাসম্ভব দুর্দশা কমিয়ে আনা।
যার ফলে সাধারণ মানুষ আরো সুখে-স্বচ্ছেন্দে বাস করতে পারে।।কিন্তু সেই সুখ-স্বচ্ছন্দ কোথায় ??
বিশ্বের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলি যেমন--আমেরিকা,জাপান যদিও ভারতের থেকে শতগুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত,তবুও আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যাচ্ছে সেখানে ধনী ও যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবথেকে বেশি। ইদানীং ভারতেও।
এই দেশের লোকগুলো কোন রকম ভাবে বেঁচে আছে। তারা সবসময় উৎকন্ঠিত,হতাশাগ্রস্ত এবং খুবই বিভ্রান্ত অবস্থায় রয়েছে।
আমরা দার্শনিক বিচার বিশ্লেষণ করছি না। আমরা কেবল বাস্তব সমস্যা গুলো বর্ণনা করছি।
আজকাল আমেরিকায় বিবাহের প্রথম তিন বছরের মধ্যে-বিবাহ-বিচ্ছেদের হার ৭৫% ।অধিক থেকে অধিকতর লোককে রাত্রিতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে হয় আর তারা নিয়মিত মনস্তত্ববিদদের নিকটে ছোটে। এই প্রকার অপসংস্কৃতি বর্তমানে ভারতের শহরগুলিতে দেখা যাচ্ছে।
লোকগুলো যেন রোবটের মতো অনুভূতিহীন,যন্ত্রের মতো চালিত হচ্ছে।
আবেগ বলে কোনকিছু নেই যদিও বা আছে তাও মিথ্যে ভাবপ্রবণতা।
আত্মার প্রকৃতি হচ্ছে সৎ-চিৎ-আনন্দ অর্থাৎ আত্মা হলো শাশ্বত,জ্ঞানময় ও আনন্দময়।
দেহ ও আত্মা এই দুইয়ের বিপরীতধর্মী অবস্থায় ,জীব নিত্য আনন্দময় পরিবেশে সুখী হওয়ার কথা ,সে কখনই অনিত্য দূর্দশাময় দেহে সুখ লাভ করতে পারে না।
জীবাত্মাকে পুনঃ পুনঃ জন্ম,বার্ধক্য,রোগ এবং মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এক দেহ থেকে অন্য দেহে ঘুরে বেড়াতে হয়।
তাই আমাদের প্রার্থনা করা উচিত--"হে মুরারী,ভগবান কৃষ্ণ,আমি বারবার জন্ম-মৃত্যুর তরঙ্গে নিক্ষিপ্ত হচ্ছি।
আমি বারবার জন্ম গ্রহণ করতে এবং বারবার মৃত্যু বরন করতে বাধ্য হচ্ছি। এভাবে আমি লক্ষ লক্ষ মাতৃজঠরে পরিভ্রমণ করে আসছি।
আপনি অনুগ্রহ করে আমার প্রতি কৃপা বর্ষণ করুন,যাতে এই দুর্দশাপূর্ণ অবস্থা থেকে নিস্তার লাভ করতে পারি।।
গ্রন্থসুত্র--মন নিয়ন্ত্রণের কৌশল!!
Comments
Post a Comment