যদি কোনও মানুষ প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে তবে তার জন্য তাকে সেই পাপের ভাগী হতেই হয়। পরিণামে তাকে সেই জন্য দণ্ডভােগ করতে হয়।
মানব-জীবনের বিধি-নিয়ম পশুদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য নয়। একটি বাঘ চাল, গম খায় না অথবা গরুর দুধ পান করে না, কারণ তার আহার হচ্ছে পশুর মাংস। বহু পশু-পক্ষী রয়েছে যারা হয় মাংসাশী, নয় নিরামিষাশী, কিন্তু তারা কেউই ভগবানের ইচ্ছার অধীন প্রকৃতির নিয়ম লঙ্ঘন করে না।পশু, পক্ষী, সরীসৃপ এবং অন্যান্য সমস্ত নিম্ন স্তরের প্রাণীরা অবিচলিতভাবে প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলে; তাই তাদের ক্ষেত্রে কোন রকম পাপের প্রশ্ন ওঠে না, আবার বৈদিক নির্দেশগুলিও তাদের জন্য নয়। কেবল মনুষ্য-জীবনই হচ্ছে দায়িত্ব-সম্পন্ন জীবন।
কেবল নিরামিষাশী হলেই যে প্রকৃতির নিয়মগুলির লঙঘন পরিহার করা হয়, তা মনে করা ভুল। গাছেরও প্রাণ রয়েছে। প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে, একটি জীব আর একটি জীবের আহার। সুতরাং নিষ্ঠাবান নিরামিষাশী হওয়ার জন্য গর্ব করা উচিত নয়; আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানকে জানা। ভগবানকে জানার মতাে উন্নত বুদ্ধিমত্তা পশুদের নেই, কিন্তু বৈদিক শাস্ত্রের শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে এবং প্রকৃতির নিয়ম কিভাবে কার্য করে তা জেনে, এই জ্ঞানের যথার্থ সদ্ব্যবহার করার উপযুক্ত বুদ্ধি মানুষের রয়েছে।
মানুষ যদি বৈদিক শাস্ত্রের নির্দেশ অবহেলা করে, তা হলে তার জীবন অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়ে। তাই মানুষের কর্তব্য হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানের প্রভুত্ব হৃদয়ঙ্গম করা।
তার কর্তব্য হচ্ছে ভগবানের ভক্ত হওয়া, সব কিছু ভগবানের সেবায় উৎসর্গ করা এবং ভগবানকে নিবেদিত প্রসাদই কেবল
গ্রহণ করা। তার ফলে তিনি তার কর্তব্য যথাযথভাবে সম্পাদন করতে পারেন।
ভগবদ্গীতায় ভগবান সরাসরিভাবে বলেছেন যে, তিনি কেবল শুদ্ধ-ভক্তের প্রদত্ত নিরামিষ আহারই গ্রহণ করেন (ভগবদগীতা৯/২৬)। তাই মানুষকে কেবল নিষ্ঠাবান নিরামিষাশী হলেই চলবে তাকে ভগবানের ভক্ত হতে হবে এবং তার সমস্ত আহার্য ভগবানকে নিবেদন করতে হবে। তারপর কেবল ভগবানের প্রসাদরূপে অথবা ভগবানের করুণারূপে তা গ্রহণ করতে হবে। যে ভক্ত এভাবেই
সচেতন হয়ে আচরণ করেন, তিনিই যথাযথভাবে মানব-জীবনের কর্তব্য সম্পাদন করছে। যে সমস্ত মানুষ ভগবানকে নিবেদন না করে আহার করে, তারা প্রকৃতপক্ষে তাদের পাপ ভক্ষণ করছে এবং পরিণামে এই পাপের ফলস্বরূপ তাদের নানারকম দুঃখকষ্ট ভােগ করতে হবে,(ভগবদ্গীতা ৩/১৩)।
সমস্ত পাপের মূল উৎস হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানের প্রভুত্ব অস্বীকার করে প্রকৃতির নিয়মের অবাধ্যতা করা।প্রকৃতির নিয়মের অবাধ্যতা অথবা ভগবানের আদেশ অমান্য করার ফলে মানুষের সর্বনাশ হয়।
কেউ যদি যথার্থভাবে প্রকৃতিস্থ হন, প্রকৃতির নিয়ম সম্বন্ধে অবগত হন এবং অনর্থক আসক্তি অথবা বিরক্তির দ্বারা প্রভাবিত না হন, তা
হলে ভগবান অবশ্যই তাকে কৃপা করেন, এবং তিনি তখন নিঃসন্দেহে তাঁর নিত্য আলয় ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়ার যােগ্যতা অর্জন করেন!!
গ্রন্থসুত্র-শ্রীঈশোপনিষদ!!
জয় শ্রীলপ্রভুপাদের জয়!!
মানব-জীবনের বিধি-নিয়ম পশুদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য নয়। একটি বাঘ চাল, গম খায় না অথবা গরুর দুধ পান করে না, কারণ তার আহার হচ্ছে পশুর মাংস। বহু পশু-পক্ষী রয়েছে যারা হয় মাংসাশী, নয় নিরামিষাশী, কিন্তু তারা কেউই ভগবানের ইচ্ছার অধীন প্রকৃতির নিয়ম লঙ্ঘন করে না।পশু, পক্ষী, সরীসৃপ এবং অন্যান্য সমস্ত নিম্ন স্তরের প্রাণীরা অবিচলিতভাবে প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলে; তাই তাদের ক্ষেত্রে কোন রকম পাপের প্রশ্ন ওঠে না, আবার বৈদিক নির্দেশগুলিও তাদের জন্য নয়। কেবল মনুষ্য-জীবনই হচ্ছে দায়িত্ব-সম্পন্ন জীবন।
কেবল নিরামিষাশী হলেই যে প্রকৃতির নিয়মগুলির লঙঘন পরিহার করা হয়, তা মনে করা ভুল। গাছেরও প্রাণ রয়েছে। প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে, একটি জীব আর একটি জীবের আহার। সুতরাং নিষ্ঠাবান নিরামিষাশী হওয়ার জন্য গর্ব করা উচিত নয়; আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানকে জানা। ভগবানকে জানার মতাে উন্নত বুদ্ধিমত্তা পশুদের নেই, কিন্তু বৈদিক শাস্ত্রের শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে এবং প্রকৃতির নিয়ম কিভাবে কার্য করে তা জেনে, এই জ্ঞানের যথার্থ সদ্ব্যবহার করার উপযুক্ত বুদ্ধি মানুষের রয়েছে।
মানুষ যদি বৈদিক শাস্ত্রের নির্দেশ অবহেলা করে, তা হলে তার জীবন অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়ে। তাই মানুষের কর্তব্য হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানের প্রভুত্ব হৃদয়ঙ্গম করা।
তার কর্তব্য হচ্ছে ভগবানের ভক্ত হওয়া, সব কিছু ভগবানের সেবায় উৎসর্গ করা এবং ভগবানকে নিবেদিত প্রসাদই কেবল
গ্রহণ করা। তার ফলে তিনি তার কর্তব্য যথাযথভাবে সম্পাদন করতে পারেন।
ভগবদ্গীতায় ভগবান সরাসরিভাবে বলেছেন যে, তিনি কেবল শুদ্ধ-ভক্তের প্রদত্ত নিরামিষ আহারই গ্রহণ করেন (ভগবদগীতা৯/২৬)। তাই মানুষকে কেবল নিষ্ঠাবান নিরামিষাশী হলেই চলবে তাকে ভগবানের ভক্ত হতে হবে এবং তার সমস্ত আহার্য ভগবানকে নিবেদন করতে হবে। তারপর কেবল ভগবানের প্রসাদরূপে অথবা ভগবানের করুণারূপে তা গ্রহণ করতে হবে। যে ভক্ত এভাবেই
সচেতন হয়ে আচরণ করেন, তিনিই যথাযথভাবে মানব-জীবনের কর্তব্য সম্পাদন করছে। যে সমস্ত মানুষ ভগবানকে নিবেদন না করে আহার করে, তারা প্রকৃতপক্ষে তাদের পাপ ভক্ষণ করছে এবং পরিণামে এই পাপের ফলস্বরূপ তাদের নানারকম দুঃখকষ্ট ভােগ করতে হবে,(ভগবদ্গীতা ৩/১৩)।
সমস্ত পাপের মূল উৎস হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানের প্রভুত্ব অস্বীকার করে প্রকৃতির নিয়মের অবাধ্যতা করা।প্রকৃতির নিয়মের অবাধ্যতা অথবা ভগবানের আদেশ অমান্য করার ফলে মানুষের সর্বনাশ হয়।
কেউ যদি যথার্থভাবে প্রকৃতিস্থ হন, প্রকৃতির নিয়ম সম্বন্ধে অবগত হন এবং অনর্থক আসক্তি অথবা বিরক্তির দ্বারা প্রভাবিত না হন, তা
হলে ভগবান অবশ্যই তাকে কৃপা করেন, এবং তিনি তখন নিঃসন্দেহে তাঁর নিত্য আলয় ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়ার যােগ্যতা অর্জন করেন!!
গ্রন্থসুত্র-শ্রীঈশোপনিষদ!!
জয় শ্রীলপ্রভুপাদের জয়!!
Comments
Post a Comment