এই জড় জগতে ৮৪ লক্ষ প্রজাতির জীব রয়েছে।
এই ৮৪ লক্ষ জীবের মধ্যে ৯ লক্ষ প্রজাতির জলজ প্রাণী, ১১ লক্ষ প্রজাতির কীট পতঙ্গ, ১০ লক্ষ প্রজাতির পাখি, ২০ লক্ষ প্রজাতির গাছপালা, ৩০ লক্ষ প্রজাতির পশু ও ৪ লক্ষ প্রজাতির মানুষ রয়েছে। এখন যারা মানুষ কুলে জন্মগ্রহন করেছেন তারা ইতিপূর্বে ৮০ লক্ষ প্রজাতির দেহ পরিবর্তন করে এসেছেন, ৮০ লক্ষ বার তাদের জন্ম হয়েছে মৃত্যু হয়েছে।
সুতরাং যে জীবাত্মা মনুষ্য দেহ লাভ করেছে সে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান, তাই মনুষ্য জন্মকে বলা হয় সুদুর্লভ।
এখন প্রশ্ন হলো কেন এই মানব জন্ম ?
একসময় প্রতিটি জীবাত্মা ভগবানের নিত্য আলয় শ্রী গোলক বৃন্দাবনে ছিল, সেখানে ভোগ-বাঞ্চা করার কারনে ভগবান অনন্তকোটি জড় ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করে সেখানে জীবাত্মাদের প্রেরণ করেছেন ভোগ বাসনা পূর্ণ করার জন্য, তো জীবাত্মা যখন জড় জগতে পতিত হয় তখন সে ভোগে লিপ্ত হয়। আর এই ভোগউন্মূখ জড় জগতকে ভোগ করার মাধ্যমে জীবাত্মা চরম দুঃখ অশান্তি ডেকে আনে এবং বারবার জন্ম-মৃত্যু, জরা-ব্যাধির দ্বারা ভীষন দুঃখ-কষ্ট পেতে থাকে।
জীবাত্মাদের এমন দুঃখ-কষ্ট দেখে জীবের পরম সুুহৃদ ও জীবের পরম পিতা শ্রী কৃষ্ণ জীবদের এই জড় জগৎ থেকে উদ্ধার হয়ে ভগবদ্ধামে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি মানব শরীর দেন। যাতে জীবাত্মার তার ভুল বুঝতে পেরে সাধন ভজন করে ভগবানের কাছে ফিরে যেতে পারে, তাই এই মানব জন্ম হলো ভব সাগর পার হওয়ার নৌকা স্বরুপ। আর এই মানব জন্ম দেওয়া হয়েছে শুধু সাধন-ভজন করে ভগবানের নিত্য আনন্দময় ধামে ফিরে যাওয়ার জন্য।
তাই যারা প্রকৃত বুদ্ধিমান তারা এই সুদুর্লভ মনুষ্য জন্মের সদ্ব্যবহার করে তথা সম্পূর্ণ পাপ মুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের অারাধনা করে এক জীবনেই ভগবানের কাছে ফিরে যেতে চান, তারা অযতা সময় অপচয় করেন না। সবসময় ভগবানের কথা স্মরণ করেন এবং প্রার্থনা করেন যে, হে ভগবান !! আমাকে তুমি এই দুঃখময় জগৎ থেকে উদ্ধার করো।
তাই আসুন, সুদুর্লভ এই মনুষ্য জন্মকে হরিভজনের মাধ্যমে স্বার্থক করে তুলি এবং ভোগ বাসনাকে ত্যাগ করি, তাহলে অন্তিমে আমরা ভগবানের অপ্রাকৃত আনন্দের ধাম শ্রী গোলক বৃন্দাবনে ফিরে যেতে পারবো।।।
Dahijuri jcs
YOUTUBE LINK-https://youtu.be/niLFE_lmBOg
এই ৮৪ লক্ষ জীবের মধ্যে ৯ লক্ষ প্রজাতির জলজ প্রাণী, ১১ লক্ষ প্রজাতির কীট পতঙ্গ, ১০ লক্ষ প্রজাতির পাখি, ২০ লক্ষ প্রজাতির গাছপালা, ৩০ লক্ষ প্রজাতির পশু ও ৪ লক্ষ প্রজাতির মানুষ রয়েছে। এখন যারা মানুষ কুলে জন্মগ্রহন করেছেন তারা ইতিপূর্বে ৮০ লক্ষ প্রজাতির দেহ পরিবর্তন করে এসেছেন, ৮০ লক্ষ বার তাদের জন্ম হয়েছে মৃত্যু হয়েছে।
সুতরাং যে জীবাত্মা মনুষ্য দেহ লাভ করেছে সে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান, তাই মনুষ্য জন্মকে বলা হয় সুদুর্লভ।
এখন প্রশ্ন হলো কেন এই মানব জন্ম ?
একসময় প্রতিটি জীবাত্মা ভগবানের নিত্য আলয় শ্রী গোলক বৃন্দাবনে ছিল, সেখানে ভোগ-বাঞ্চা করার কারনে ভগবান অনন্তকোটি জড় ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করে সেখানে জীবাত্মাদের প্রেরণ করেছেন ভোগ বাসনা পূর্ণ করার জন্য, তো জীবাত্মা যখন জড় জগতে পতিত হয় তখন সে ভোগে লিপ্ত হয়। আর এই ভোগউন্মূখ জড় জগতকে ভোগ করার মাধ্যমে জীবাত্মা চরম দুঃখ অশান্তি ডেকে আনে এবং বারবার জন্ম-মৃত্যু, জরা-ব্যাধির দ্বারা ভীষন দুঃখ-কষ্ট পেতে থাকে।
জীবাত্মাদের এমন দুঃখ-কষ্ট দেখে জীবের পরম সুুহৃদ ও জীবের পরম পিতা শ্রী কৃষ্ণ জীবদের এই জড় জগৎ থেকে উদ্ধার হয়ে ভগবদ্ধামে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি মানব শরীর দেন। যাতে জীবাত্মার তার ভুল বুঝতে পেরে সাধন ভজন করে ভগবানের কাছে ফিরে যেতে পারে, তাই এই মানব জন্ম হলো ভব সাগর পার হওয়ার নৌকা স্বরুপ। আর এই মানব জন্ম দেওয়া হয়েছে শুধু সাধন-ভজন করে ভগবানের নিত্য আনন্দময় ধামে ফিরে যাওয়ার জন্য।
তাই যারা প্রকৃত বুদ্ধিমান তারা এই সুদুর্লভ মনুষ্য জন্মের সদ্ব্যবহার করে তথা সম্পূর্ণ পাপ মুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের অারাধনা করে এক জীবনেই ভগবানের কাছে ফিরে যেতে চান, তারা অযতা সময় অপচয় করেন না। সবসময় ভগবানের কথা স্মরণ করেন এবং প্রার্থনা করেন যে, হে ভগবান !! আমাকে তুমি এই দুঃখময় জগৎ থেকে উদ্ধার করো।
তাই আসুন, সুদুর্লভ এই মনুষ্য জন্মকে হরিভজনের মাধ্যমে স্বার্থক করে তুলি এবং ভোগ বাসনাকে ত্যাগ করি, তাহলে অন্তিমে আমরা ভগবানের অপ্রাকৃত আনন্দের ধাম শ্রী গোলক বৃন্দাবনে ফিরে যেতে পারবো।।।
Dahijuri jcs
YOUTUBE LINK-https://youtu.be/niLFE_lmBOg
Comments
Post a Comment