Skip to main content

Posts

Showing posts from 2023

বিপদতারিনী বা বিপদনাশিনী কে ?

  শ্রী_শ্রী_বিপত্তারিনী_বা_বিপদনাশিনী_পূজা*              🕉️✧═══════•❁❁•═══════✧🕉            আজ শ্রী শ্রী বিপত্তারিনী বা বিপদনাশিনী পূজা। জয় মা আদী শক্তি🔱 👉বিপদতারিনী বা বিপদনাশিনী কে  ?  যিনি সমগ্র বিপদ থেকে রক্ষা করেন বা যিনি বিপদ সমূহ নাশ করেন তিনিই বিপদতারিনী । যিনি দুর্গা তিনিই বিপদতারিনী । তিনি পুরাণে কৌষিকীদেবী নামে খ্যাতা । আবার তিনিই জয়দুর্গা । দেবীর উৎপত্তি হয়েছিলো ভগবান শিবের অর্ধাঙ্গিনী দেবী পার্বতীর  কোষিকা থেকে- তাই তিনি কৌষিকী । পুরাণ মতে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই অসুরের হাতে দেবতারা পরাজিত হয়ে হিমালয়ে গিয়ে মহামায়ার স্তব করতে লাগলেন । সেই সময় ভগবতী পার্বতী সেই স্থান দিয়ে যাচ্ছিল্লেন। দেবী তাদের স্তব শুনে বললেন – “ আপনারা এখানে কার স্তব করিতেছেন ? ” 👉সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে তার মতন দেখতে আর এক জন দেবী বের হয়ে আসলেন । সেই নব আবির্ভূতা দেবী জানালেন – “ ইহারা আমারাই স্তব করিতেছেন ।” 👉এই দেবী যুদ্ধে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক অসুরের বধ করেছিলেন । এই দেবী মোহাচ্ছন্ন শুম্ভাসুরকে অদ্বৈত জ্...

'মোহিনী' একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা

কুর্মপুরাণে বৈশাখ শুক্লপক্ষের 'মোহিনী' একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।  মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন--হে জনার্দন! বৈশাখ শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর কি নাম, কি ফল, কি বিধি--এসকল কথা আমার নিকট বর্ণনা করুন।  উত্তরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে ধর্মপুত্র! আপনি আমাকে যে প্রশ্ন করেছেন পূর্বে শ্রীরামচন্দ্রও বশিষ্ঠের কাছে এই একই প্রশ্ন করেছিলেন।  তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন--হে মুনিবর! আমি জনকনন্দিনী সীতার বিরহজনিত কারনে বহু দুঃখ পাচ্ছি। তাই একটি উত্তম ব্রতের কথা আমাকে বলুন। যার দ্বারা সর্বপাপ ক্ষয় ও সর্বদুঃখ বিনষ্ট হয়।  এই কথা শুনে বশিষ্ঠ বললেন--হে রামচন্দ্র!  তুমি উত্তম প্রশ্ন করেছ। যদিও তোমার নাম গ্রহণেই মানুষ পবিত্র হয়ে থাকে। তবুও লোকের মঙ্গলের জন্য তোমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ও পরমপবিত্র একটি ব্রতের কথা বলছি।  বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী 'মোহিনী' নামে প্রসিদ্ধা। এই ব্রত প্রভাবে মানুষের সকল পাপ, দুঃখ ও মোহজাল অচিরেই বিনষ্ট হয়। তাই মানুষের উচিত সকল পাপক্ষয়কারী ও সর্বদুঃখবিনাশী এই একাদশী ব্রত পালন করা। একাগ্রচিত্তে তার মহিমা তুমি শ্রবণ কর। এই কথা শ্রবণ...

বরুথিনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

বৈশাখ কৃষ্ণপক্ষীয়া বরুথিনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে বর্ণনা করা হয়েছে।  যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন--হে বাসুদেব! আপনাকে প্রণাম। বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী কি নামে প্রসিদ্ধ এবং তার মহিমাই বা কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন।। শ্রীকৃষ্ণ বললেন-- হে রাজন!  ইহলোক ও পরলোকে বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী 'বরুথিনী' নামে বিখ্যাত। এই ব্রত পালনে সর্বদা সুখলাভ হয় এবং পাপক্ষয় ও সৌভাগ্য প্রাপ্তি ঘটে। দুর্ভাগা স্ত্রীলোক এই ব্রত পালনে সর্বসৌভাগ্য লাভ করে থাকে। ভক্তি ও মুক্তি প্রদানকারী এই ব্রত সর্ব পাপহরণ ও গর্ভবাস যন্ত্রণা বিনাশ করে। এই ব্রত প্রভাবে মান্ধাতা, ধুন্ধুমার আদি রাজারা দিব্যধাম লাভ করেছেন। এমনকি মহাদেব শিবও এই ব্রত পালন করেছিলেন। দশ হাজার বৎসর তপস্যার ফল কেবলমাত্র এক বরুথিনী ব্রত পালনে লাভ হয়। যে শ্রদ্ধাবান ব্যক্তি এই ব্রত পালন করেন তিনি ইহলোক ও পরলোকে সমস্ত প্রকার বাঞ্ছিত ফল লাভ করেন।  হে নৃপশ্রেষ্ঠ!  অশ্বদান অপেক্ষা গজদান শ্রেষ্ঠ, গজদান থেকে ভূমিদান, তা থেকে তিলদান, তিলদান থেকে স্বর্ণদান এবং তা অপেক্ষাও অন্নদান...

কুসংস্কার

🚩কুসংস্কারের কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মের সুফল পাচ্ছে না 🚫কুসংস্কার  পূর্ব পুরুষের  ঐতিহ্য দিয়ে ধর্ম হয় না 🙏 কুসংস্কার ১/ শ্রাদ্ধের সময় মাছ দিতে হবে।  কুসংস্কার ২/একাদশী বিধবারা করবে,  সধবারা করতে  পারবে না।   কুসংস্কার ৩/বংশে কে মারা গেলে বা জন্ম নিলে অশৌচো কালে ভগবানের সেবা পূজা করতে পারবেনা  মায়েদের ঋতুরছাব কালে হরিনাম জপ করতে পারবে না   কুসংস্কার ৪/গীতা পড়লে মাহাত্ম্য পড়তে হবে, মাহাত্ম্য না পারলে গীতা পরা ব্যর্থ হবে   কুসংস্কার ৫/আমাদের পূর্বপুরুষেরা যার থেকে দীক্ষা নিয়েছে তার থেকে দীক্ষা নিতে হবে   কুসংস্কার ৬/দীক্ষা  না নিলে হরিনাম একাদশী করতে পারবে না   কুসংস্কার ৭/বাবা-মার সেবা করলে ভগবানের সেবা করতে হয় না   কুসংস্কার ৮/দেব দেবী আর ভগবান এক,, যে কারো একজনের উপাসনা করলেই হল।   কুসংস্কার ৯/ মানুষ মরলে তার বুকের উপর গীতা দিতে হবে   কুসংস্কার ১০/ গীতা কে লালসালু দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে,   কুসংস্কার ১১/আত্মাকে কষ্ট দিয়ে ধর্ম হয় না, মন...

শ্রী শ্রী রামচন্দ্রের ২৪টি গুণাবলী

বাল্মীকি কর্তৃক জিজ্ঞাসিত প্রতিটি গুণাবলী কীভাবে ভগবান শ্রীরামের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে নারদ মুনি তা বর্ণনা করেছেন। যিনি আদর্শ মানুষ হতে চান, তাঁর উচিত এই গুণসমূহ লালন করা এবং ভগবান শ্রীরামের মধ্যে এর সবগুলোই ছিল। সেগুলো হলো : ১. গুণবান : সকলের শ্রেষ্ঠ হতে হলে উচ্চবংশে জন্ম, উচ্চ শিক্ষা ও ঐশ্বর্য থাকা প্রয়োজন । এমনকি এর একটি থাকলেও মানুষ অহংকারী হয়ে ওঠে। আর যার মধ্যে সবগুলোই রয়েছে সে যে উদ্ধত হবে তা তো সহজেই অনুমেয়। একজন গুণবান ব্যক্তি হচ্ছেন তিনি যার উচ্চবংশ, ধনসম্পদ ও উচ্চশিক্ষা থাকা সত্ত্বেও তিনি সুশীল বা সকলের প্রতি ভদ্র ও অমায়িক। ভগবান শ্রীরামের মধ্যে এই তিনটিই পূর্ণরূপে ছিল, তবুও তিনি সকলের প্রতি অমায়িক ছিলেন। গুহ (একজন উপজাতি নেতা), সুগ্রীব (একটি বানর) এবং বিভীষণ (একজন রাক্ষস) এর সাথে বন্ধুত্ব করে ভগবান শ্রীরাম এই গুণটি প্রদর্শন করেছিলেন। ২. বীর্যবান : একজন শক্তিশালী ব্যক্তি। খর, দূষণ, রাবণ ও কুম্ভকর্ণের সাথে যুদ্ধে ভগবান শ্রীরাম এই গুণটি প্রদর্শন করেছেন। 9. ধর্মজ্ঞ : ভগবান শ্রীরাম যে ধর্মটি অনুসরণ করেছেন তা হচ্ছে সুরক্ষার ধর্ম, যা তাঁর সম্পূর্ণ শরণাগত ভক্তদের মুক্তি নিশ্চি...

*শিবরাত্রির ব্রত কবে পালন করা হবে?"

শিব চতুর্দশী ব্রতের শুদ্ধ তিথি কবে? (যারা শাস্ত্রীয় রেফারেন্স চাইছিলেন, তাদের উদ্দেশ্যে) ---বেশি করে শেয়ার করে জানিয়ে দিন সকলকে-- ============= উত্তর ============== স্কন্দপুরাণে শিবরাত্রিব্রতনির্ণয় বিষয়ে পরাশর মুনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, অমাবস্যা সংযুক্ত চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি ব্রতই শিবের প্রিয় , কোন অবস্থাতেই ত্রয়োদশীযুক্ত চতুর্দশীতে ব্রত করা যাবে না। মাঘাসিতং ভূতদিনং হি রাজমুপৈতি যোগং যদি পঞ্চদশ্য ।।  জয়াপ্রযুক্তাং নতু জাতু কুৰ্য্যাচ্ছিবস্য রাত্রিৎ প্রিয়কচ্ছিগ্যেতি।। 🔺[ স্কন্দপুরাণ, হ.ভ.বি ১৪।১৩।৭০, পরাশর উক্তি ]🔺 বঙ্গানুবাদ: পরাশর মুনি বললেন, " হে নৃপ ! মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে অমাবস্যাযোগ হইলে সেদিন শিবরাত্রিব্রত করিবে; উহা মহাদেবের পরমপ্রীতিকর।  কিন্তু ত্রয়োদশীযুক্তা  চতুর্দশী তিথি সর্বাবস্থায় ত্যাজ্যা।" ১৮ তারিখ সারাদিনই ত্রয়োদশী, রাত্রিতে ১ম প্রহরের একেবারে শেষ সময়ে চতুর্দশী তিথি লাগবে। অতএব, ১৮ তারিখের চতুর্দশী তিথি ত্রয়োদশী দ্বারা বিদ্ধা(দূষিত)। বিদ্ধা তিথিতে তাই শুদ্ধভক্তগণের চতুর্দশী ব্রত করা নিষেধ।  পূর্ব্বিদ্ধা ন কর্ত্তব্যা তৃতীয়া ষষ্...

গঙ্গাসাগরের_পুণ্যস্নান_ও_তীর্থভূমি

বাংলা ৩০ শে পৌষ ১৪২৯ ইংরাজি ১৫ ই জানুয়ারি ২০২৩ রবিবার  উত্তরায়ন সংক্রান্তি  দিবা  ১১ টা ৪৭ মিনিট এর মধ্য গঙ্গাসাগরের পুণ্যস্নান সম্পুন্ন করতে হবে।  👉কপিল মুনির আশ্রমকে কেন্দ্র করেই  পূণ্যস্নানও কপিল মুনির কাহিনী বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পৌষ পার্বণ  বা মকর সংক্রান্তি  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগরদ্বীপে প্রত্যেক বছর আয়োজন হয় গঙ্গাসাগর মেলার  কপিল মুনির আশ্রমকে  কেন্দ্র করে পুণ্যস্নান ও বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়। গঙ্গায় পবিত্র স্থান করতে সেখানে দূর দূর থেকে আসেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী।   👉কপিলমুনি ও সাগরদ্বীপে তাঁর মন্দিরের আসল কাহিনী।  গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রম সাগরদ্বীপে প্রত্যেক বছর আয়োজন হয় গঙ্গাসাগর মেলার। কপিল মুনির আশ্রমকে কেন্দ্র করে পুণ্যস্নান ও বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়।প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পৌষ পার্বণ  বা মকর সংক্রান্তি  পৌষ মাসের শেষ দিন পালন করা হয়। তবে এই উৎসবকে ঘিরে লোককথা শোনা যায...