🚩কুসংস্কারের কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মের সুফল পাচ্ছে না
🚫কুসংস্কার পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য দিয়ে ধর্ম হয় না 🙏
কুসংস্কার ১/ শ্রাদ্ধের সময় মাছ দিতে হবে।
কুসংস্কার ২/একাদশী বিধবারা করবে, সধবারা করতে পারবে না।
কুসংস্কার ৩/বংশে কে মারা গেলে বা জন্ম নিলে অশৌচো কালে ভগবানের সেবা পূজা করতে পারবেনা
কুসংস্কার ৪/গীতা পড়লে মাহাত্ম্য পড়তে হবে, মাহাত্ম্য না পারলে গীতা পরা ব্যর্থ হবে
কুসংস্কার ৫/আমাদের পূর্বপুরুষেরা যার থেকে দীক্ষা নিয়েছে তার থেকে দীক্ষা নিতে হবে
কুসংস্কার ৬/দীক্ষা না নিলে হরিনাম একাদশী করতে পারবে না
কুসংস্কার ৭/বাবা-মার সেবা করলে ভগবানের সেবা করতে হয় না
কুসংস্কার ৮/দেব দেবী আর ভগবান এক,, যে কারো একজনের উপাসনা করলেই হল।
কুসংস্কার ৯/ মানুষ মরলে তার বুকের উপর গীতা দিতে হবে
কুসংস্কার ১০/ গীতা কে লালসালু দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে,
কুসংস্কার ১১/আত্মাকে কষ্ট দিয়ে ধর্ম হয় না, মনে যা চায় তা খাও
কুসংস্কার ১২/গুরুদেব কে পরীক্ষা করতে নাই যেকোনো একজন গুরু ধরলেই হল
কুসংস্কার ১৩/ দশবিদ সংস্কার, বিবাহ, অন্নপ্রাশন , শ্রাদ্ধ, সীমন্তী সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্কারে এবং অনুষ্ঠানে জীব হত্যা এবং মাছ মাংস ভক্ষণ করানো
কুসংস্কার ১৪।উচ্চস্বরে হরিনাম করা যাবে না, মনে মনে জপ করতে হয়।
কুসংস্কার ১৫/ ব্রাহ্মণ শুদ্ধ না , ব্রাহ্মণের কোন গুণ তার নাই জেনেও ব্রাহ্মণ দিয়ে পূজা করানো।
কুসংস্কার ১৬/গুরু ভন্ড পাপাচারী হলেও তাকে ত্যাগ করা যায় না।
কুসংস্কার ১৭/কৃষ্ণ মন্ত্র দীক্ষিত রায় কেবল হরিনাম জপ করবে
কুসংস্কার ১৮/ শাস্ত্র গ্রন্থে না থাকলেও পূর্বপুরুষেরা যা করে আসছে সেগুলোকে ধর্ম মনে করা।
কুসংস্কার ১৯/শাস্ত্রের বহির্ভূত কারো স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে মানত করার মাধ্যমে মনগড়া জল্পনা কল্পনা দিয়ে ধর্ম সৃষ্টি করা
কুসংস্কার ২০/স্বামী-স্ত্রী পরিবারের সবাই এক গুরুর থেকে দেখে নিতে হয়।
সংস্কার ২১/ রাধাকৃষ্ণ এক আত্মা তাই রাধারানী চরণে তুলসী পাতা দেওয়া যায়।
কুসংস্কার ২২ /মুখ শুদ্ধ করার জন্য পান সুপারি খেতে হয়
কুসংস্কার ২৩/কলি যুগে জন্ম সূত্রে সবাই শূদ্র জেনেও বিবাহ এবং বিভিন্ন খাওয়া দাওয়া নিয়ে জাতপাত বিচার করা
কুসংস্কার ২৪/ মায়েদের ঋতুরসাব কালে হরিনাম জপ করতে পারবে না
কুসংস্কার ২৫/গীতা এবং শাস্ত্র গ্রন্থের শ্লোক পড়তে ভুল হলে অপরাধ হবে।
কুসংস্কার ২৬ / লোভ লালসা হিংসা ত্যাগ করতে না পারলে গীতা পড়া যাবে না।
কুসংস্কার ২৭/ আমার বাবা-মা আমার কাছে ভগবান তাই অন্য ভগবানকে ডাকার প্রয়োজন মনে করি না।
কুসংস্কার ২৮/মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মহিলা পুরুষ আলিঙ্গন করা মহিলাদের অষ্টাঙ্গ প্রণাম বা শুয়ে প্রণাম করা।
কুসংস্কার ২৯/ ধর্মীয় কীর্তনের নামে কৃত্রিমভাবে কান্নাকাটি করে চোখের জল বের করা, মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য কান্না করার ভাব দেখানো।
কুসংস্কার ৩০ / আমার বাবা অথবা মা মাছ খেতো তাই তাদের পিন্ডে মাছ দিতে হবে, তারা যায় খেতো তা পিন্ডে দিতে হবে।
কুসংস্কার ৩১/ সংসার ধর্ম বড় ধর্ম সংসার করলে ধর্ম হয়ে
যায়।
কুসংস্কার ৩২/কর্মই ধর্ম কর্ম করলেই ভগবানকে পাওয়া যায়।
কুসংস্কার ৩৩/বছরের প্রথম দিন ভালো খেলে সারাবছর ভালো খাবে তাই ইলিস মাছ মাংস ইন্দ্রিয় তৃপ্তির যত পারো
করে যাও।
কুসংস্কার ৩৪/ সরস্বতী পূজার দিন বই পড়া যাবে না ।
কুসংস্কার ৩৫/গুরুদেব থেকে দীক্ষা নিলে মুক্তি লাভ হয়ে যাবে , এত নিয়ম কানুন শাস্ত্র গ্রন্থ দেখতে হবে না।
কুসংস্কার ৩৭/আমার গুরুদেব এই ভগবান গুরুদেব যেটা বলে সেটায় শাস্ত্র, গীতা ভাগবত পুরানো উপনিষদ দেখার দরকার নাই।
কুসংস্কার ৩৮ /গীতায় মাছ মাংস খেতে নিষেধ করে নাই,
সংস্কার ৩৯ /রাতের বেলা গীতা পড়া যাবে না গীতা পড়তে হলে আসনে বসতে হবে ঠাকুরের সামনে, টেবিলে বসে খাটের উপর বসে দাঁড়িয়ে পড়া যাবে না শুদ্ধ পোশাক পড়তে হবে ইত্যাদি।
কুসংস্কার ৪০ /কালী আর কৃষ্ণ এক কারণ রাধারানী এবং আয়নঘষের সামনে কৃষ্ণ কালী রূপ ধারণ করেছিলেন।
কুসংস্কার ৪১ সংসারে থাকলে দেব দেবীর পূজা করতে হয়, দেবদেবী পূজা না করলে সংসারের আই উন্নতি টাকা পয়সা সুখ শান্তি আসবে না শ্রীকৃষ্ণের ভজন শুধু সাধু সন্ন্যাসী ত্যাগীদের জন্য।
কুসংস্কার ৪২/পরকালের কথা বলে লাভ নাই সবকিছু এই পৃথিবীতে মৃত্যুর পরে কে হয় কেউ দেখেছে ।
কুসংস্কার ৪৩ /পান বিড়ি সিগারেট চা কপি খেলে একাদশী ভঙ্গ হয় না।
কুসংস্কার ৪৪/মল মাসে ভগবানের সেবা জপ কীর্তন করা যাবেনা যাবে না ।
কুসংস্কার ৪৫/পেঁয়াজ রসুন মসুর মসুর ডাল খেলে নিরামিষভঙ্গ হয় না।
কুসংস্কার ৪৬/ ছোট শিশুদেরকে ও পর্যন্ত গুরুদেবকে দিয়ে কানে মন্ত্র দেওয়া, গুরুদেবের আশ্রিত করা।
কুসংস্কার ৪৭ /বৃদ্ধ হলে ধর্ম করবে শিশুকালে কিশের ধর্ম, যৌবনকাল হচ্ছে ভোগ করার সময়।
দীক্ষা নিতে হলে বাবা মায়ের অনুমতি লাগবে বাবা আমার অনুমতি ছাড়া দীক্ষা নিলে হবে না
কুসংস্কার ৫৯/ কালী পূজা মনসা পূজার নামে পাঠা বলি দিয়ে মাংসকে প্রসাদ মনে করে খাওয়া।
কুসংস্কার ৫০ / যাহা দেখি নাই দুই নয়নে বিশ্বাস করি না গুরুর বচনে ।
আজকের মত ৫০ টা কুসংস্কার দিয়ে শুরু করলাম ভবিষ্যতে আরো কুসংস্কার প্রকাশ করবো.........
🙏 হরে কৃষ্ণ 🙏
Comments
Post a Comment