এই জগতের প্রায় সবার জীবন দেহকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে । সবাই মনে করে আমি আমার দেহ । তাই সবার পরিচয়ও হয় দেহকেন্দ্রিক - ‘ আমি মানুষ , আমি পুরুষ , আমি নারী , আমি ছাত্র , আমি ডাক্তার , আমি ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি ।
কিন্তু আসলেই কি দেহই আমি বা আমরা ?
কেউ মারা গেলে কেন আমরা বলি - “ অমুক চলে গেলেন । ” যদিও অমুকের দেহটি এখনাে বর্তমান ? নিশ্চয়ই দেহ থেকে এমন কেউ চলে গেছেন , যার অভাবে দেহ এখন নির্জীব , মৃত ; আবার যখন তিনি ছিলেন , তখন দেহ সচল , সজীব ও চেতন ছিল ।
- আমিই দেহ , নাকি আমার দেহ ?
স্বজ্ঞাগত এ বােধটি আমাদের প্রত্যেকেরই আছে যে , প্রকৃত ব্যক্তিসত্তা ‘ আমি আমার দেহ , মন ও বুদ্ধি থেকে পৃথক । তাই আমরা বলে থাকি । আমার হাত , আমার পা , আমার মাথা , আমার দেহ ' ইত্যাদি । ঠিক যেমন আমরা বলি - আমার জামা , আমার জুতাে ; কিন্তু কেউ কি কখনাে বলে - আমি জামা , আমি জুতাে ’ ? এ হাত , পা আদি অঙ্গ - প্রত্যঙ্গগুলাে তাে বটেই এমনকি পুরাে দেহটিও ব্যক্তিসত্তা ছাড়া কিছু করতে পারে না । এক এক করে এ অঙ্গ - প্রত্যঙ্গগুলাে বিচ্ছিন্ন বা প্রতিস্থাপন করলেও ব্যক্তি ‘ আমি ’ র অস্তিত্ব থাকে ।
কিন্তু যদি এ ব্যক্তিসত্তা দেহ থেকে চলে যায় , তবে হাত , পা , চোখ , নাকসহ পুরাে দেহই অকেজো , অচল ও ক্রিয়াশক্তিহীন হয়ে পড়ে এবং পচতে শুরু করে কয়েক মুহূর্ত পরই ।
কিন্তু কে এই ব্যক্তি ‘ আমি ’ ?
আমি দেহ মনে করার ফলে মানুষ প্রতিনিয়ত দুঃখকষ্ট ভােগ করছে । কিন্তু সে এতই মােহাচ্ছন্ন যে , তার দুঃখকষ্ট সম্পর্কে সে মােটেই অবগত নয়।মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মােহাচ্ছন্ন অবস্থা কাটিয়ে উঠে তার দুঃখ - দুর্দশা সম্পর্কে সচেতন হয়ে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান করছে , যতক্ষণ পর্যন্ত না সে বুঝতে পারছে যে , সে দুঃখ - দুর্দশা চায় না , ততক্ষণ তাকে যথার্থ মানুষ বলে গণ্য করা চলে না ।
মানুষের মনুষ্যত্বের সূচনা তখনই হয় , যখন তার মনে এই সমস্ত প্রশ্নের উদয় হতে শুরু করে । ব্রহ্মসূত্রে এই অনুসন্ধানকে বলা হয় ব্রহ্মজিজ্ঞাসা । “অথাতাে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” । মানব - জীবনে এই ব্রহ্মজিজ্ঞাসা ব্যতীত আর সমস্ত কর্মকেই ব্যর্থ বা অর্থহীন বলে গণ্য করা হয় । তাই যারা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন ,
“আমি কে ?
আমি কোথা থেকে এলাম ?
আমি কেন কষ্ট পাচ্ছি ?
মৃত্যুর পরে আমি কোথায় যাব ? “
তারাই ভগবদগীতার প্রকৃত শিক্ষার্থী হওয়ার যােগ্যতা অর্জন করেছেন । এই তত্ত্ব যিনি আন্তরিকভাবে অনুসন্ধান করেন , তিনিই ভগবানের প্রতি অকৃত্রিম ভক্তি অর্জন করেন ।
অর্জুন ছিলেন এমনই একজন অনুসন্ধানী শিক্ষার্থী । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মানব - জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করে দেবার জন্য তাকে জানিয়েছেন যে,
“হে অর্জুন তুমি দেহ নও , তুমি আত্মা”।
কিন্তু আসলেই কি দেহই আমি বা আমরা ?
কেউ মারা গেলে কেন আমরা বলি - “ অমুক চলে গেলেন । ” যদিও অমুকের দেহটি এখনাে বর্তমান ? নিশ্চয়ই দেহ থেকে এমন কেউ চলে গেছেন , যার অভাবে দেহ এখন নির্জীব , মৃত ; আবার যখন তিনি ছিলেন , তখন দেহ সচল , সজীব ও চেতন ছিল ।
- আমিই দেহ , নাকি আমার দেহ ?
স্বজ্ঞাগত এ বােধটি আমাদের প্রত্যেকেরই আছে যে , প্রকৃত ব্যক্তিসত্তা ‘ আমি আমার দেহ , মন ও বুদ্ধি থেকে পৃথক । তাই আমরা বলে থাকি । আমার হাত , আমার পা , আমার মাথা , আমার দেহ ' ইত্যাদি । ঠিক যেমন আমরা বলি - আমার জামা , আমার জুতাে ; কিন্তু কেউ কি কখনাে বলে - আমি জামা , আমি জুতাে ’ ? এ হাত , পা আদি অঙ্গ - প্রত্যঙ্গগুলাে তাে বটেই এমনকি পুরাে দেহটিও ব্যক্তিসত্তা ছাড়া কিছু করতে পারে না । এক এক করে এ অঙ্গ - প্রত্যঙ্গগুলাে বিচ্ছিন্ন বা প্রতিস্থাপন করলেও ব্যক্তি ‘ আমি ’ র অস্তিত্ব থাকে ।
কিন্তু যদি এ ব্যক্তিসত্তা দেহ থেকে চলে যায় , তবে হাত , পা , চোখ , নাকসহ পুরাে দেহই অকেজো , অচল ও ক্রিয়াশক্তিহীন হয়ে পড়ে এবং পচতে শুরু করে কয়েক মুহূর্ত পরই ।
কিন্তু কে এই ব্যক্তি ‘ আমি ’ ?
আমি দেহ মনে করার ফলে মানুষ প্রতিনিয়ত দুঃখকষ্ট ভােগ করছে । কিন্তু সে এতই মােহাচ্ছন্ন যে , তার দুঃখকষ্ট সম্পর্কে সে মােটেই অবগত নয়।মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মােহাচ্ছন্ন অবস্থা কাটিয়ে উঠে তার দুঃখ - দুর্দশা সম্পর্কে সচেতন হয়ে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান করছে , যতক্ষণ পর্যন্ত না সে বুঝতে পারছে যে , সে দুঃখ - দুর্দশা চায় না , ততক্ষণ তাকে যথার্থ মানুষ বলে গণ্য করা চলে না ।
মানুষের মনুষ্যত্বের সূচনা তখনই হয় , যখন তার মনে এই সমস্ত প্রশ্নের উদয় হতে শুরু করে । ব্রহ্মসূত্রে এই অনুসন্ধানকে বলা হয় ব্রহ্মজিজ্ঞাসা । “অথাতাে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” । মানব - জীবনে এই ব্রহ্মজিজ্ঞাসা ব্যতীত আর সমস্ত কর্মকেই ব্যর্থ বা অর্থহীন বলে গণ্য করা হয় । তাই যারা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন ,
“আমি কে ?
আমি কোথা থেকে এলাম ?
আমি কেন কষ্ট পাচ্ছি ?
মৃত্যুর পরে আমি কোথায় যাব ? “
তারাই ভগবদগীতার প্রকৃত শিক্ষার্থী হওয়ার যােগ্যতা অর্জন করেছেন । এই তত্ত্ব যিনি আন্তরিকভাবে অনুসন্ধান করেন , তিনিই ভগবানের প্রতি অকৃত্রিম ভক্তি অর্জন করেন ।
অর্জুন ছিলেন এমনই একজন অনুসন্ধানী শিক্ষার্থী । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মানব - জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করে দেবার জন্য তাকে জানিয়েছেন যে,
“হে অর্জুন তুমি দেহ নও , তুমি আত্মা”।
plz comment all
ReplyDeleteহরে কৃষ্ণ, খুব ভালো লাগলো।
Delete